শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:: আজ রোববার ভোর থেকে সারাদেশের সঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় ঢাকায় কর্মরত যাত্রীদের কেউ কেউ বিকল্প পথে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বা অটোরিকশা খুঁজে নিচ্ছেন। এতে ভাড়াও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) ভোর থেকে বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকাগামী শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জসহ ৫ জেলার বাসও।
এর আগে গতকাল শনিবার ময়মনসিংহে এনসিপি ও পরিবহন শ্রমিক পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এনসিপির দাবির মুখে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতারা ইউনাইটেড বাস সার্ভিস বহরে শামীম এন্টারপ্রাইজের ১৬টি বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ঢাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক-ফেডারেশনের নির্দেশনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের সব ধরনের বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা মোটরযান মালিক সমিতি ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।
এদিকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার দাবিতে রোববার ভোর থেকে ময়মনসিংহ মাসকান্দা কেন্দ্রীয় শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখে অনশন ধর্মঘট পালন করছেন। এতে শ্রমিকদের বিভিন্ন ব্যানারে দেখা যায়- মিথ্যা অপবাদে শ্রমিকের পেটে লাথি মারা মানব না। ষড়যন্ত্র করে গাড়ি বন্ধ করা চলবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার চাই। শ্রমিক ও যাত্রী হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।
বাস শ্রমিকরা জানান, শামীম এন্টারপ্রাইজের বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও একজন বাস শ্রমিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, বাস শ্রমিককে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাস চলাচল বন্ধ করা শ্রমিকদের জীবিকার ওপর আঘাত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ময়মনসিংহ জেলা বাস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুক। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে।
আব্দুল হক নামের এক যাত্রী বলেন, আমি জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলাম। সকালে টার্মিনালে এসে দেখি সব বাস বন্ধ। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না। এখন দ্বিগুণ ভাড়ায় প্রাইভেটকারে যেতে হচ্ছে। আরেক যাত্রী ছাত্রী রিমা আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বাস না পেয়ে খুব বিপাকে পড়েছি। কেউ যদি আগে জানাত, বিকল্প ব্যবস্থা নিতাম।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের দাবি ও প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।